কুয়াকাটায় ৫০ বছর ধরে পরে থাকা জলাশয় দিঘীটি হতে যাচ্ছে এখন সৌর্ন্দয্য বর্ধণে দৃষ্টি নন্দিত অত্যাধুনিক লেক পার্ক। পর্যটকদের বিনোদন বা সময় কাটানোর স্থান না থাকায় এনিয়ে পর্যটকের মুখে ছিলো ব্যাপক আলোচনায় সমালোচনা।
এসব আলোচনা মাথায় রেখে পৌর সভার নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ার হাওলাদার তার নিজ অর্থায়নে বিনোদন মুখী এ উদ্যোগ নিয়ে ব্যাপক সারা ফেলছেন। এখন থেকে কাজ শুরু হয়েছে আগামী পর্যটন মৌশুমের আগেই এটি চালু হবে এমনটাই দাবি কুয়াকাটার পৌর কর্তৃপক্ষর। বর্তমানে নিজ অর্থ খরচ করলেও পরবর্তিতে এটাকে যে কোন প্রজেক্টে নেওয়া হবে। এতে খরচ হতে পারে প্রায় ৪কোটি টাকা।
জানা যায়,কুয়াকাটার সৈকতের কোলঘেঁষে বেড়িবাধেঁর বাহিরে ১৯৭০ সালের ভয়াবহ বন্যার পানির ¯্রতে বিশাল দিঘীতে পরিনত হয়। এবং প্রায় ৪ একর জায়গা জুড়ে দিঘীটি বদ্ধ জলাশয় রয়ে যায় ৫০ বছর ধরে। সরকারী এ জমিটি অনেক সময় পরিস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়ে উঠেনি। নবনির্বাচিত মেয়র দায়িত্বে আসার পরপরই নজরে আসে এই অযত্নে অবহেলায় পরে থাকা এই দিঘীটি।
যেটি পর্যটকদের বিনোদনের জন্য অত্যাধুনিক লেক পার্ক তৈরীর জন্য যা পর্যটক বান্ধব ও বিনোদন প্রেমি মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বর্তমানে নিজ অর্থায়ানে হাতে নেন। যেখনে থাকবে প্যাডেল নৌকা, লেকের চার পাশে বিভিন্ন কালার লাইটিং, সৈকতে গোসল করে এসে পর্যটকরা মিস্টি পানিতে গোসল করে ড্রেস চেঞ্জিং রুম, লেকের মাঝে তিনটি গোলাকার ভাসমান ওয়াটার প্রুফ লাইটিং ঝাড় ও মিউজিক লাইট, চারপাশে ৮ ফুট রাস্তার ফাঁেক ফাঁেক থাকবে বসার স্থানসহ লেকে চার পাশেই পরিছন্ন ভাবে তৈরী হবে এই বিনোদন মূখী লেক পার্ক।
এই লেক পার্কের বদৌলতে পৌর এলাকার অনেক বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, গুরুত্ব পূর্ন জায়গাটি এতদিন পরিত্যক্ত জলাশায় ডোবা পরে ছিলো মেয়র যে উদ্যোগ নিয়েছে এটা কে আমরা সাধুবাদ জানাই।
কুয়াকাটা শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জনি আলমগীর জানান,আমরা বর্তমান মেয়রের কাজ দেখে মনে হয় বলতে পারি যে একজন বিনোদন বান্ধব মেয়র পাইছি কুয়াকাটা যে কাজটি সবচেয়ে অনুপস্থিত ছিলো সেটি দ্রুত উদ্যোগ নিয়েছে এবং সে সফল হবে আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই তার পাশে আছি ভালো কাজের সাথে। স্বপ্নের সিড়িতে দাড়িয়ে পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জানান, ভোটের আগে জনগনকে কথা দিয়ে ছিলাম নির্বাচিত হতে পারলে আপনাদের নিয়ে কাজ করব।
পরে থাকা পৌরসভার যতগুলি সরকারী জায়গা রয়েছে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শোভাবর্ধন করে পর্যটকদের বিনোদন পায় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। যে লেকটার কাজ করতেছি সেটি সুন্দর একটি নাম দিয়ে শুভ উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মহোদয়। চলমান কজের চেষ্টার ত্রুটি করব না মন দিয়ে করছি। বাকি দিন গুলি আল্লাহর উপর ভারসা আপনারা ও জনগন সহয়তা করলে ইচ্ছে পোষন করছি আগামি পাচ বছর পরিকল্পিত ভাবে কাজ করে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে চাই ।
আগত পর্যটক ও আমার পৌর জনগন যেন কাজের মাঝে আমাকে স্বরণ রাখে। এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার আবুল হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক জানান, মেয়র সাহের যে উদ্যোগটি নিয়েছে ভাল তবে সরকার যে কোন ভালো কাজের সহযোগীতায় বদ্ধপরিকর।